মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেলেই বা থাকলেই মার্কিন সরকারের বা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের অপতৎপরতাকে সমালোচনা করা যাবে না বা রুখে দেওয়া যাবেনা (একই ল...

নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধের জন্য স্থান কোনো বাধা নয়।

5:30 PM Editor 0 Comments

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেলেই বা থাকলেই মার্কিন সরকারের বা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের অপতৎপরতাকে সমালোচনা করা যাবে না বা রুখে দেওয়া যাবেনা (একই লজিকে বাংলাদেশে থাকলে বাংলাদেশ সরকারের বা বাংলাদেশের সবচাইতে ক্ষমতাসীনদের কোনো সমালোচনা করা যাবে না; আবার পাল্টা-কথাটাও বলে কেউ কেউঃ কেবল বাংলাদেশে থাকলেই বাংলাদেশ সরকারের বা ক্ষমতাশালীদের সমালোচনা করা যাবে), এসব সুবিধাবাদী ধারণা স্থানের ছুঁতো দিয়ে কিংবা স্থানের দোহাই পেড়ে চূড়ান্ত দৃষ্টান্তে প্রতিবাদ-প্রতিরোধের বিভিন্ন সম্ভাবনাকেই নস্যাৎ করতে চায়। স্থান নিয়ে এইসব ধুনফুন ক্ষমতাসীনের বা নিপীড়কের পক্ষেই যায়।

এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে দু'একটা কথা বলি। কী এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র? "আদিবাসীদের ভুমি চুরি করে' এবং তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন ধরণের শ্রম ও সম্পদকে শোষণ করে' গড়ে-ওঠা এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় বিশ্বের সকল নাগরিকেরই কোনো না কোনোভাবে হক আছে," কথাটা মেলা আগেই যথার্থই বলেছিলেন "ব্ল্যাক পাওয়ার" আন্দোলনের বিপ্লবী স্টোকলি কারমাইকেল। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই।

যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসটা জানেন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটা দুর্দান্ত ইতিহাসের বই লিখেছিলেন হাওয়ার্ড জিন), তারা এও জানেন যে, এই দেশ কোনো নির্দিষ্ট মার্কিন সরকারের বাপ-দাদার সম্পত্তি নয় এবং এখানে এলেই সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন সরকারের কাছে আত্মা ও মাথা বিক্রি করে দিতে হবে তার তো কোনো কথা নেই। যারা করতে চায় তাদের কথা আলাদা।

তবে বলা দরকার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছে আদিবাসীদের উপনিবেশবাদবিরোধী সংগ্রামের বিশাল ঐতিহ্য। এ দেশেই রয়েছে কালা আদমিদের এবং অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠীর বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রাম। অবশ্যই রয়েছে লাখো লাখো শ্রমিকের পুঁজিবাদবিরোধী সংগ্রাম। এবং এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই রয়েছে ছোট ছোট "তৃতীয় বিশ্ব" (উদাহরণ হিসাবে বলা যাবে রেজারভেসন-ঘেটো-বারিও'এর কথা)।

তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিরাজমান বিভিন্ন ধরণের নিপীড়নের বিরুদ্ধে যে-কোনো জাতির যে-কেউই সোচ্চার হতে পারেন; ভেতরে যারা থাকেন তারা যেমনি, বাইরে থাকেন যারা তারাও তেমনি, এবং তাদেরকে স্থানের দোহাই দিয়ে থামিয়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে ওই নিপীড়নকেই প্রশ্রয় দেয়া। নিপীড়ক নিপাত যাক।

0 comments:

Note: Only a member of this blog may post a comment.